১. চোখ এবং ঠোঁটের অবস্থাঃ
সুস্থ মুরগির চোখ উজ্জ্বল এবং সজীব থাকে। চোখের আশেপাশে কোনো লালচে ভাব বা পানিপূর্ণ লক্ষণ দেখা গেলে বুঝতে হবে মুরগিটি অসুস্থ। ঠোঁট পরিষ্কার এবং শক্ত হওয়া উচিত।
২. পালকের গুণগত মানঃ
সুস্থ মুরগির পালক ঝকঝকে এবং মসৃণ হয়। পালকে অতিরিক্ত ঝরে পড়া বা মলিনতা দেখা দিলে তা অসুস্থতার ইঙ্গিত হতে পারে।
৩. চঞ্চলতা এবং গতিশীলতাঃ
সুস্থ মুরগি চঞ্চল এবং সক্রিয় থাকে। তারা খাবারের প্রতি আগ্রহী এবং দৌড়ঝাঁপ করে। যদি মুরগি নিস্তেজ এবং স্থিরভাবে বসে থাকে, তবে তা অসুস্থতার লক্ষণ।
৪. তাপমাত্রা এবং শ্বাসপ্রশ্বাসঃ
মুরগির শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক হওয়া উচিত। অতিরিক্ত গরম বা ঠান্ডা অনুভূত হলে তা অসুস্থতার কারণ হতে পারে। শ্বাস নিতে কোনো শব্দ বা কষ্ট হলে তা শ্বাসতন্ত্রের সমস্যার লক্ষণ।
৫. মল এবং খাদ্যাভ্যাসঃ
মুরগির মল স্বাভাবিক রঙের এবং সুসংবদ্ধ হওয়া উচিত। পাতলা, পানিসমৃদ্ধ বা রক্তমিশ্রিত মল হলে তা সংক্রমণ বা পেটের সমস্যা নির্দেশ করে।
৬. পায়ের স্বাস্থ্যঃ
মুরগির পা শক্ত এবং মসৃণ হওয়া উচিত। পায়ের গাঁটে ফোলা বা ক্ষত থাকলে তা অসুস্থতার চিহ্ন।
৭. ডিম পাড়ার ক্ষমতাঃ
যদি মুরগি ডিম পাড়ার উপযোগী হয় তবে নিয়মিত ডিম দেয়। ডিম পাড়ার অনিয়মিততা বা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাওয়া কোনো অভ্যন্তরীণ সমস্যার ইঙ্গিত দেয়।
সুস্থ মুরগি নির্বাচন এবং সঠিক পরিচর্যার মাধ্যমে উচ্চমানের ডিম ও মাংস উৎপাদন সম্ভব। প্রতিদিন মুরগির আচরণ ও শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করা অত্যন্ত জরুরি। সুস্থ মুরগি পালনের জন্য পরিষ্কার পরিবেশ এবং পুষ্টিকর খাবার নিশ্চিত করা গুরুত্বপূর্ণ।
4o
মুরগি পালন বা কেনার সময় সুস্থ মুরগি চিহ্নিত করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সুস্থ মুরগি পালন করলে ভালো মানের ডিম এবং মাংস পাওয়া সম্ভব হয়। মুরগি কেনার সময় বা পালনকালীন তাদের শারীরিক লক্ষণ ও আচরণ পর্যবেক্ষণ করলে সহজেই সুস্থ মুরগি চেনা যায়। নিচে কিছু গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা দেওয়া হলো: